তুমি আছো

স্তব্ধ রাতের তারার মাঝে

তুমি আছো

রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্রে’

তুমি আছো

জীবনানন্দের ‘ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে’

তুমি আছো

কোন সীমাহীন নিসর্গতায়,

কোন কবিতার উপমায়;

তুমি আছো রমনার বটমূলে

পহেলা বৈশাখের গানে আর

বসন্তের আনন্দ উৎসবে;

তুমি আছো কীর্তনখোলায়

কিংবা নাম না জানা

কোন গ্রামের মেঠোপথে,

স্নিগ্ধ কাশবনে;

তুমি আছো ঘাসফুলের উপর

ভোরের শিশিরকণায়;

সবকিছুর মাঝেই তোমায় খুঁজে পাই আমি

তাই কোথাও আর খুঁজতে যাইনা তোমায় !

 

  

                                                         তোমার চোখে যখন 

                                                    সকালের প্রখর দীপ্তি দেখি 

                                                     আমার ভীষন ইচ্ছে করে 

ঘড়ির কাঁটাটাকে থামিয়ে দিতে

কিন্তু তবুও

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে

আমি চেয়ে চেয়ে দেখি তোমার বিদায় ক্ষণকে।

 

তোমার চোখে আমি কখনো বিষাদ দেখিনি

কিন্তু আমি জানি আমার চোখ জুড়ে যেন

বিষাদের এক ঘোর লেগে থাকে

লুকাতে পারিনা কিছুতেইকোনভাবে

যখন তোমাকে দেখি তড়িঘড়ি করে

ধূসর দিগন্তরেখার কাছে মিলিয়ে যেতে।

 

রাত নেমে আসে

বিমূর্ত রাতের গভীরতা যেন

মর্মে মর্মে স্পর্শ করতে চায় আমায়

যেন ছিন্ন করতে চায়

আমাদের অদৃশ্য বন্ধনকে;

হয়তোবা হারিয়ে যাই স্বপ্নলোকে

কেটে যায় কিছুক্ষণ কিছু মূহুর্ত

তারপর চোখ মেলে আবার তোমায় দেখি

মৌন পূব আকাশে

যেন আনন্দভরা দীপ্ত চোখে

তুমি চেয়ে আছো ।